Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

আমাদের অর্জনসমূহ

১। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখে চাটখিল উপজেলায় পল্লী অঞ্চলে দারিদ্র নিরসনকল্পে ৩৭৫৫ জন গ্রামীন নারী ও পুরুষের মাঝে ক্ষুদ্র ঋণ বিতরন ।

২ । ২০২১-২০২২ অর্থবছরে চাটখিল উপজেলার ১১টি (এগারো) বেসরকারি এতিমখানায় সর্বমোট ২০৮ জন এতিম ও পিতামাতার যত্ন বঞ্চিত শিশুর খাদ্য, পোষাক ও ঔষধ খরচ বাবদ      ২৪,০০,০০০/-  (চব্বিশ লক্ষ) টাকা ক্যাপিটেশন গ্রান্ট প্রদান ।

৩ । ২০২১-২০২২ অর্থবছর পর্যন্ত  চাটখিল উপজেলার বিভিন্ন স্কুল ও কলেজে অধ্যয়নরত  ৮৪ জন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীকে শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদান ।

৪ । ২০২১-২০২২ অর্থবছরে চাটখিল উপজেলার বিভিন্ন স্কুল ও কলেজে অধ্যয়নরত সর্বমোট ১৩ জন বেদে ও অনগ্রসর শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন হারে শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদান।

৫। নারী কল্যাণ, শিশু কল্যাণ, বয়স্ক শিক্ষা, সামাজিক অবক্ষয় রোধে সচেতনতা সৃষ্টি এবং যুব সমাজকে সঠিক পথে পরিচালিত করার লক্ষে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে চাটখিল উপজেলার মোট ০৩টি সেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণমূলক সংগঠন (ক্লাব) কে ৮৪,০০০/- (চুরাশি হাজার) টাকা এককালীন আর্থিক অনুদান প্রদান ।

৬। ২০২১-২০২২ অর্থবছরে চাটখিল উপজেলায় বসবাসরত ১২৩৭৬ জন বয়স্ক, ৩৫৬৭ জন বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা, ৩৪২৪ জন অসচ্ছল প্রতিবন্ধী , ১১৪ জন বেদে ও অনগ্রসর বয়স্ক ব্যক্তিকে  বিভিন্ন হারে ভাতা প্রদান। 

৭। রোগীকল্যাণ সমিতির মাধ্যমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তিকৃত সর্বমোট প্রায় ২৫৭ জন অসহায়, দরিদ্র রোগীদের ঔষধ, রক্ত পরীক্ষা বাবদ ১১৪,০০০/- (এক লক্ষ চৌদ্দ হাজার) টাকা প্রদান ।

৮। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় বিভিন্ন প্রকার ভাতাভোগীদের ভাতা প্রদান প্রক্রিয়াকে আরও সহজ, আধুনিক ও গতিশীল করার লক্ষে ১৯৫৬৫ জন উপকারভোগীর প্রযোজনীয় তথ্য ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমে (এমআইএস) আপলোডকরন ।

৯। প্রায় ৩৬২৮ জন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিকে সুবর্ণ নাগরিক কার্ড প্রদান ।

১০। বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প দেশব্যাপী প্রান্তিক পেশাজীবীগোষ্ঠীর সঠিক সংখ্যা নিরূপণ ও তাদের তথ্য সম্বলিত অনলাইন ডাটাবেজ প্রণয়নের মাধ্যমে (কামার, কুমার, নাপিত, বাঁশ ও বেত পণ্যকারী, কাঁসা/পিতল পণ্য প্রস্তুতকারী, জুতা মেরামত/প্রস্তুতকারী, লোকজ যন্ত্র, নকশী কাঁথা শিল্পী, শীতল পাটি, শতরঞ্জি, লোকজ শিল্পী) পেশার টেকসই উন্নয়নে সফটস্কিলস/উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ প্রদান করছে। মাঠ পর্যায়ের এ পেশাজীবীদের উৎপাদিত পণ্যবাজারজাতকরণের লক্ষ্যে ঢাকায় ১ টি বিপনন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যার মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উপার্জন সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। কাজের সুযোগ সৃষ্টি ও আত্মকর্মসংস্থানের ক্ষেত্র তৈরিতে প্রশিক্ষনোত্তর নগদ অর্থ সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে প্রান্তিক পেশাজীবীগোষ্ঠীর সামাজিক মর্যাদা ও সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে কাজ করে যাচ্ছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সমাজসেবা অধিদফতর এর এই প্রকল্পটি। প্রশিক্ষণ ও অনুদান (নগদ সহায়তা) প্রাপ্তদের ব্যবসা প্রসারে সহায়তা এবং গুগল ম্যাপিং এর মাধ্যমে মনিটরিং প্রকল্পের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করছে। এই প্রকল্পের আওতায় দুই ধরণের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়ঃ ১। সফটস্কিলস (উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ) ২। এপ্রেন্টেসসীপ প্রশিক্ষণ। উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও আয়বর্ধক কাজে অন্তর্ভুক্তকরণের মাধ্যমে বেকারত্ব দূর করা। উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও আয়বর্ধক কাজের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি ও তাদের পণ্য রপ্তানি করা । প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় নিয়ে আসা। অর্থনৈতিক সম্পৃক্তির মাধ্যমে সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি করা এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের স্রোতধারায় সম্পৃক্তকরণ। তাদের পেশার টেকসই উন্নয়নের জন্য দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান

১১। 

ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থানঃ প্রাচীন কাল থেকেই মানব সমাজে ভিক্ষাবৃত্তি চলে আসছে। উপমহাদেশেও এর ইতিহাস দীর্ঘ দিনের। বৃটিশ ও পাকিস্তান আমলের শোষন, বঞ্চনা এবং নদী ভাঙ্গন, দারিদ্র, রোগ-ব্যাধি, অশিক্ষা ইত্যাদি কারণে ভিক্ষাবৃত্তির ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটে। বর্তমান সময়ে কিছু মানুষের কর্ম বিমুখতা এবং একদল স্বার্থন্বেষী মহলের অর্থ উপার্জনের হাতিয়ার হিসেবে ভিক্ষাবৃত্তির ব্যপক প্রসার ঘটেছে। ভিক্ষাবৃত্তি একটি সামাজিক ব্যাধি। এটি স্বীকৃত কোন পেশা নয়। বর্তমানে বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটেছে। স্বল্পোন্নত দেশের অবস্থান থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় উত্তরণ ঘটেছে। ভিক্ষাবৃত্তির লজ্জা থেকে দেশকে মুক্ত করার সময় এসেছে। দেশে দারিদ্র নিরসনে সরকারের অঙ্গীকার বাস্তবায়ন এবং ভিক্ষাবৃত্তির মত অমর্যাদাকর পেশা থেকে মানুষকে নিবৃত করার লক্ষ্যে ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য সরকারের রাজস্ব খাতের অর্থায়নে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ‘‘ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান’’ শীর্ষক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। আগস্ট/২০১০ খ্রিঃ হতে কর্মসূচি’র কার্যক্রম শুরু হয়। ২০১০ সাল হতে ভিক্ষুক পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু হলেও তা তেমন ব্যাপকতা পায়নি। বর্তমান জনবান্ধব সরকার ভিক্ষাবৃত্তির মত সামাজিক ব্যধিকে চিরতরে নির্মূলের বিষয়ে অত্যন্ত আন্তরিক।